কুমিল্লার হোমনায় ফেসবুকে ইসলামের নবীকে নিয়ে কটূক্তির জেরে একাধিক মাজারে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় একটি মাজারে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বুধবার নবীকে নিয়ে কটূক্তি করে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। এই ঘটনা পুলিশের নজরে আসলে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়।
মি. ইসলাম বলেন, “যে লোককে অ্যারেস্ট করা হয়েছে তার দাদার নামে একটা মাজার আছে এলাকায়। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা আজ সকালে এক হয়ে অভিযুক্তের দাদার নামে করা মাজারের পাশাপাশি অন্য দুটি মাজারেও ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে,” বলেন তিনি।
মাজারে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
“এখন পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. ইসলাম।
ফেসবুকে কটূক্তি ও একজনকে গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হোমনার আসাদপুর এলাকায় উত্তেজনা ছিল বলে জানান স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী আব্দুল হক সরকার।
“গ্রেফতারের ঘটনায় এক পক্ষ বিক্ষোভ করতে পারে এমন খবর পেয়ে এলাকার তৌহিদি জনতা মাজারে ভাঙচুর চালায়। এসময় পাশাপশি থাকা চারটি মাজার ও আশপাশের কিছু দোকনপাটও ভেঙে ফেলা হয়,” মি. সরকার।