ছোট্ট একটি নাম সমু। বাবা মায়ের ভালোবাসা আদর যত্নে একটু একটু করে গড়ে উঠছিল শ্রী সমুর জীবন। বুদ্ধিমত্তা ভালো থাকায় কবিতাও লিখতেন সমু। স্কুলে খেলার সাথীদের সাথে আর কখনো দেখা হবে না সমুর। স্কুলে ভালো রেজাল্ট নম্বর ভদ্র ও ফার্স্টবয় হয় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মুখে মুখে সমু ডাকনামটি বেশ পরিচিত ছিল। সমুর ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে দেশের জন্য কিছু করার কবিতার পাশাপাশি বেশ ভালো ফুটবলও খেলতেন সমু। কে জানতো ফুটবল খেলতে গিয়ে জীবন প্রদীপ জ্বলে ওঠার আগেই নিভে যাবে নন্দীগ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণীর স্কুল ছাত্র শ্রী সমু কর্মকারের জীবন প্রদীপ।
সমু নন্দীগ্রাম হিন্দুপাড়ার শ্রী সমর চন্দ্র কর্মকারের তৃতীয় ছেলে। সমু নন্দীগ্রাম সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এর ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ে হঠাৎ আঘাতপ্রাপ্ত হয় সমু। পরিবার জানতে পেয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করান। এর কিছুদিন অতিবাহিত হলে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে সমু সকলের মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে যান।
ষষ্ঠ শ্রেণীর কোমলমতি এই শিক্ষার্থীর সমর আকাল মৃত্যুতে পুরো নন্দীগ্রাম উপজেলা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সোস্যাল মিডিয়া জুড়ে একটাই নাম সমু। স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে সকল গুণীজনরা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে সমুর আত্মার সদগতি কামনা করছেন।