বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আমন ধানের চারা রোপনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। দেশের উত্তরাঞ্চল তথা বগুড়ার শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত নন্দীগ্রাম উপজেলা। এই উপজেলার কৃষকরা বছরে ৩ বার ধানের চাষাবাদসহ রবিশস্য’র চাষাবাদ করে আসছে। এবারও ইতিমধ্যেই উপজেলার কৃষকরা রোপা আমন ধানের চাষাবাদ শুরু করেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১৯হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষাবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।এখন পুরোদমে মাঠের ফসলি জমিতে রোপা আমন ধানের চারারোপনের কাজ চলছে। এ উপজেলায় উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮হাজার ১২০মেট্রিকটন ধান। সরেজমিনে নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা এখন আমন ধানের চারা রোপনের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে। বেশির ভাগ কৃষক ব্রি-ধান ৪৯,৩৪,৭১, বিনা-৭,১৭,ও কাটারিভোগ জাতের ধান চাষ করছে। সিধইল গ্রামের কৃষক মো: শাজাহান আলী বলেন, আমি ১০ বিঘা জমিতে ৪৯ ও ৩ বিঘা জমিতে ৩৪ ধান লাগাবো। জমি রোপনের কাজ শুরু করেছি। কাথম গ্রামের কৃষক দানেশ আলী বলেন, আমি ১৫ বিঘা জমিতে ধানের চাষাবাদ করি। কিছু জমিতে আগাম সবজি ও মরিচ চাষ করি। আমন ধান চাষের জন্য মাঠে নেমে পরেছি। ধান রোপনের শ্রমিক করিম বলেন, আমরা প্রতিবিঘা জমি ধান লাগানোর জন্য ১৩শ থেকে ১৫শ টাকা করে নিচ্ছি। খুব রোদ-গরম তাই কাজ করা কঠিন। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হকের সাথে কখা বললে তিনি জানান, ১৯হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশাকরি তার চেয়ে বেশি জমিতে চাষাবাদ হবে। এই উপজেলায় বিগত বছরের মত এবারও আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে। সে লক্ষ্যনিয়েই আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি।