Khaborer Patrika
ঢাকাবুধবার , ২২ জানুয়ারি ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নন্দীগ্রাম শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে ইরি-বোরো চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
জানুয়ারি ২২, ২০২৫ ৬:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে ইরি-বোরো চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা। উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায়  এবার ১৯ হাজার ৫৮২ হেক্টর  জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে নন্দীগ্রাম কৃষি অধিদপ্তর। ইতিমধ্যেই সাড়ে ৫শ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চারা রোপণ করেছে কৃষক। ঘন কুয়াশা আর শীত উপেক্ষা করে ইরি-বোরো চাষে ঝুঁকে পড়েছেন এই উপজেলার কৃষকরা। আগামী মাস পর্যন্ত ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম চলবে।

উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা ভোর থেকে শীতল ঠান্ডা পানিতে নেমে ইরি-বোরো ধানের বীজ তুলে সেই বীজ জমিতে রোপণ করছেন। ইরি-বোরো চাষের জন্যে প্রস্তুত করা হচ্ছে জমি। ভোর রাত থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত বোরো জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত কৃষকেরা। অনেকেই আবার আগাম আলু উত্তোলনের পর ওই জমিতে রোপণ করছেন  ইরি-বোরো ধানের চারা। সবমিলিয়ে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটছে নন্দীগ্রামের কৃষকদের। মাঠ পর্যায়ে ঘুরে একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে , আগাম চারা রোপণ করায় ক্ষেতে ফসল ভালো উৎপাদন হয়। আর সারি সারি করে ধানের চারা  রোপণ করার ফলে পরিচর্যায় স্বস্তি মিলে। এছাড়া ক্ষেতে রোগ-বালাই কম হওয়ায় অন্যান্য ফসল থেকে শতকরা ২০ভাগ উৎপাদন বেশি হবে। হাটলাল গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, বীজ, সার সব কিছুর দাম বেশি। শ্রমিকের মজুরি অনেক বেশি। সার ও বীজের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকলে ধান চাষ করে আরও লাভ পাওয়া যেতো। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডার মধ্যে সময় মতো চারা রোপণ করতে না পারলে আশানুরুপ ফলন পাওয়া যাবে না। তাই আগাম চারা রোপণ শুরু করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, চলতি মৌসুমের ইরি- বোরো চাষে অধিক ও ভালো মানের ফলন পাওয়ার জন্য নন্দীগ্রামের কৃষি অধিদপ্তর এর একদল কর্মীরা কৃষকদের নিকট গিয়ে ইরি-বোরো ধানের সফল চাষে সঠিক পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। যে সব জমিতে চাষ করা হচ্ছে ইরি-বোরো ধান, তার সার্বিক পরিচর্যার জন্য কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।