আমি মোঃ রমজান আলী, সভাপতিঃ ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়ন, নন্দীগ্রাম, বগুড়া। উপস্থিত ঢাকলমা সাধারন জনগন ও আমার দলীয় নেত কর্মী নিয়ে এই মর্মে সংবাদ সম্মেলন করছি যে, গত ১৮/০৪/২০২৫ইং রোজ শুক্রবার চাকলমা জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে আমার সামনে চাকলমা ঠকপাড়ার জনৈক মোঃ রমজান আলী, (৫০) পিতাঃ মৃত নজাবত আলী, স্বজ্ঞানে চাকলমা দারুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার এক ছোট্ট শিশু বাচ্চা যার নাম মোঃ সাকিব, বয়সঃ ৮-৯ বছর, কে মসজিদের বিদ্যুৎ বিলের কাগজ মোয়াজ্জিম সাহেবকে দিতে বললে ছাত্রটি বলে যে, নামায শেষ হোক পরে দিব, বলার সাথে সাথে ছোট্ট শিশু বাচ্চাকে সজোড়ে গালে থাপ্পর মারে। আমি তাকে মারার কারন জানতে চাইলে সে ঔধত্য দেখিয়ে চলে যায়। এর পর বাচ্চাটি কান্না-কাটি ও আহাজানি করলে উপস্থিত মসজিদের বাহিরে অসংখ্য তৌহিদী জনতার মাঝে এক রিদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাৎক্ষনাত মসজিদের একদল তৌহিদী জনতা জনাব রমজান আলীর বাড়ি গিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে এসে কারন জানতে চান, অপরাধ করার মতো কোনো কারন না থাকায় শিশু বাচ্চাকে মারার অপরাধে আবেগী পরিস্তিতিতে তৌহিদী জনতা উক্ত ব্যক্তিকে উত্তম-মাধ্যম দেন। পরে তার পরিবার তাকে বাসায় নিয়ে যায়। ঐ দিন রাত্রি বেলা আমি বা আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ আকারে জানতে পারি যে, ঐ ঘটনার সাথে আমার প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নেতা জরিত, আমি উপস্থিত জনতার সম্মুখে বলতে চাই আমার ০৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির কেনো নেতা এর সঙ্গে জরিত নয়। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা চাকলমার গৌরব ও
প্রাণের স্পন্দন ঢাকলমা দারুল কোরআন হাফেজিয় মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্রকে মারার কারনে যদি গ্রামের তৌহিদী জনতা তাকে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে থাকে তাহলে এর সাথে বিএনপির নাম জরানোকে আমি পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের গুন্ডা-বাহিনীর ষরযন্ত্রের অংশ মনে করছি। আমাদের ধারনা পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিানার আওয়ামী লীগ এর ০৭ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ আকরাম হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা হারুনুর রশিদ সহ অত্র চাকলমার যুবলীগ, ছাত্রলীগ এর প্রত্যক্ষ মদোদে চাকলমা গ্রামে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তার দায়ভার বিএনপির ওপর চাপাতে চাচ্ছে, আমরা আরো লক্ষ করছি যে, ককটেল বিষ্ফোরন ও অগ্নি-সংযোগ মামলার আসামী ওয়ার্ড আওয়ামী সভাপতি আকরাম হোসেন এর নির্দেশে তার বিয়াই (ছেলের শ্বশুর) মোঃ রানা মিয়া, ফারুক মিয়া, মেহেদী হাসান, আফসার হোসেন, ইমরান হোসেন ও তাদের জামাই রাশেদ সহ বেশ কয়েকজন উক্ত সরযন্ত্র বাস্তবায়নে লিপ্ত হয়েছেন। বিগত আওয়ামী সরকারের প্রহসনের নির্বাচনে তারা নৌকা মার্কার ভোট করে শেখ হাসিনাকে গনহত্যাকারী বানাতে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন। আমার প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সকল নেত কর্মী ও চাকলমা গ্রামবাসীকে ঐ সমস্ত ষরযন্ত্রকারীর প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখার জন্য বিনীত আহবান করছি। আমরা সকলেই কমবেশি ব্যবসা বানিজ্যের সাথে জড়িত, আমাদের জান মাল ও মোটর সাইকেলের ওপর যে কোন সময় বিগত দিনের মতো অগ্নি- সংযোগ করতে পারে। এর পর এই শান্তিপ্রিয় গ্রামে কোনো রকমের বিশৃঙ্খলা ঘটলে এর দায়ভার উক্ত ব্যাক্তিগনদের বহন করতে হবে। এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নন্দীগ্রাম থানার সম্মানিত অফিসার ইনচার্জ ও সাংবাদিক বৃন্দদের জানানো হলো।
আহ্বানে-
মোঃ রমজান আলী
সভাপতি, ০৭নং ওয়ার্ড বিএনপি,০৫ নং ভাটগ্রাম ইউনিয়ন, নন্দীগ্রাম, বগুড়া।