Khaborer Patrika
ঢাকামঙ্গলবার , ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নন্দীগ্রামে জমে উঠেছে সরিষার হাট, বাম্পার ফলন ও দামে খুশি কৃষক

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫ ৮:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বগুড়ার নন্দীগ্রামে জমে উঠেছে সরিষার হাট। সরিষার হাটটি নতুন হলেও বিপুল পরিমাণ সরিষা আমদানি হচ্ছে নন্দীগ্রামের এই হাটে। এবারো সরিষার বাম্পার ফলন আর বাজারমূল্য বেশি পাওয়ায় খুশি রয়েছে নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে চলতি রবি মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় সাাড়ে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষাবাদ হয়েছে। নন্দীগ্রাম হাট কর্তৃপক্ষ জানান, সপ্তাহে প্রতি মঙ্গলবার এখানে সরিষার হাট বসে। এই হাটে বিভিন্ন জাতের সরিষা উঠে এবং সরিষার মান-দর বেশ ভালো হওয়ায় উপজেলার দূরদুরান্ত থেকে সরিষা ক্রয়-বিক্রয় করতে আসে ক্রেতা-বিক্রেতারা। সরিষার বেপারি রেজাউল করিম বলেন, অন্যান্য হাটের তুলনায় নন্দীগ্রাম হাটে প্রচুর পরিমাণ সরিষার আমদানি হচ্ছে। এই হাটটি বাড়ির খুব নিকটে হওয়ায় পরিবহন খরচ অনেক কম হয়। মঙ্গলবার হাটে আমি ৬০ মণ সরিষা কিনেছি। সরিষার বেপারি সাইদুল বলেন, নন্দীগ্রাম হাটে প্রচুর পরিমাণ সরিষা আমদানি হয়। আমি সরিষা কিনে রেখে পরে বিক্রি করি। মঙ্গলবার হাটে আমি ১শ মণ সরিষা কিনেছি। বর্তমানে সরিষার প্রকার ভেদে ২৫শ থেকে ২৮শ টাকা মণ দরে সরিষা কিনেছি। সরিষা চাষি বক্কার বলেন, রবি মৌসুমে সরিষার আবাদ করে উৎপাদিত সরিষা মৌসুমের সময় অল্প বিক্রি করে কিছুদিন পর সব বিক্রি করে দিবো। এতে এখনকার চেয়ে কিছুটা বেশি দাম পাওয়া যাবে। এ বছর আমি ৮ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের সরিষার আবাদ করেছি। তিনি আরো বলেন, এবারো সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারদরও অনেকটা ভালো রয়েছে। এ জন্য আমি অনেকটা খুশি। রিধইল গ্রামের রাজু বলেন, নন্দীগ্রাম সরিষার হাটটি নতুন হলেও অল্পদিনের ব্যবধানে এই হাট সরিষার হাট হিসেবে খুব পরিচিতি পেয়েছে। আর এই হাটে ভালো মানের সরিষা উঠে। এ ছাড়াও উপজেলার রণবাঘা ও কুন্দারহাটসহ কয়েকটি হাটে সরিষা পাওয়া যায়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকায় এবার নন্দীগ্রামে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবছর নন্দীগ্রামে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে সরিষা চাষ করেছে কৃষক। এখন বাজারে সরিষার বেশ দাম রয়েছে যা বাজারে বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছে নন্দীগ্রামের কৃষকরা।